‘চট্টগ্রাম ও মহসিন কলেজের চিন্তা বাদ দিলে আপোষ করতে রাজি’
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণির মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে আদালত প্রাঙ্গণ। মঙ্গলবার সকাল থেকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী। এ কর্মসূচি চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
সকাল ১১টা থেকে নগর, চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও আশেকানে আওলিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এসময় তাদের হাতে রণির মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করে তারা। এসময় রণিকে দণ্ড দেওয়া বিচারক হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, নগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত কচি, জয়নাল উদ্দিন জাহিদ, উপ সম্পাদক এম আর হৃদয়, চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম, জাবেদুল ইসলাম জিকু, জাহাঙ্গির রেজা, হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দিন মামুন, সাইফুদ্দিন মানিক, ফখরুজজ্জামান আল ফয়সাল, আনোয়ার হোসেন পলাশ প্রমুখ।
সমাবেশে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম বলেন, রণি ভাইকে দেখতে সোমবার বিকেলে কারাগারে গিয়েছিলাম। রণি ভাই বলেছেন, ‘‘তাকে আটকের পর ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের চিন্তা বাদ দিলে তার সঙ্গে আপোষ করতে রাজি বলে জানান।’’ কিন্তু রণি ভাই তাকে মুখের ওপর বলে দিয়েছেন দীর্ঘ ৩০ বছর পর এ দুটি কলেজ থেকে ছাত্রশিবির বিতাড়িত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন স্বাধীনভাবে দুটি কলেজে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। আমি মরে গেলেও এ দুটি কলেজ পুনরায় শিবিরের হাতে তুলে দেব না।’
এসময় বক্তারা বলেন, ছাত্র সমাজের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা আর চরম শিবির বিদ্বেষী মনোভাবই কাল হয়েছে রণির জন্য। এজন্য দলের অনেক হাইব্রিড নেতার চক্ষুশীলও ছিলেন তিনি। তাই তাকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।’
দ্রুত ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করে নূরুল আজিম রণিকে মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। তা না হলে আরও কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে সমাবেশ চলাকালে খবর আসে রণিকে অস্ত্র মামলায় জামিন দেননি আদালত। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নতুন আদালত ভবনের চারতলা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় উপস্থিত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অ্যাডভোকেট বদিউল আলম স্মারক ব্রিজের নিচে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় আদালত প্রাঙ্গণের দিকে গাড়ি চলাচলে বাধা দেন তারা। ফলে কোনো গাড়িই আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেনি।
চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম বলেন, ‘রণি ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে আমরা বিকেল চারটা পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান করবো।’
No comments