Breaking News

ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত নিজামীর

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ও একাত্তরের আলবদরপ্রধান মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড যেকোনো মুহূর্তে কার্যকর হতে যাচ্ছে। নিজামীর সাজা রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজের লিখিত রায় গতকাল সোমবার আপিল বিভাগ প্রকাশ করার পর এর কপি ট্রাইব্যুনাল হয়ে সন্ধ্যায়ই কারাগারে পৌঁছেছে। কারাগারে ফাঁসির মঞ্চও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিজামীকে গত রবিবার রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। সারা দেশেও সতর্ক রাখা হয়েছে র‌্যাব ও পুলিশকে। কারা সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তারা গিয়ে নিজামীকে রায়ের কপি ও মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনান। তবে নিজামী শেষ সুযোগ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা পরে জানাবেন বলে কারা কর্মকর্তাদের বলেন। নিজামীর সামনে এখন শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ারই সুযোগ আছে। এক কারা কর্মকর্তা জানান, আজ মঙ্গলবারই বিষয়টি জানা যেতে পারে। উচ্চপর্যায়ের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিজামী যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন না করেন, তবে আজকালের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আবার প্রাণভিক্ষা চাইলেও রাষ্ট্রপতি ওই আবেদন নাকচ করার পরপরই যত শিগগির সম্ভব ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এর আগে পরিবারের সদস্যদের শেষবারের মতো দেখা করার সুযোগ দেওয়া হবে। এটিই হতে পারে নাজিমউদ্দিন রোডে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শেষ ফাঁসি। কারণ এ মাসেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করার কথা রয়েছে। নিজামীকে ফাঁসিতে ঝোলাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন অনুযায়ী সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দণ্ড কার্যকর করবে সরকার। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গত ৫ মে নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে রায় দেন। প্রথা অনুযায়ী রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছানোর পর রায় কার্যকর করতে হয়। গতকাল রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার সময় বিচারপতিরা এতে সই করেন। বিকেল ৫টার পর রায়ের কপি পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। রায়ের কপি কারাগারে : বিকেল ৫টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠান। ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কেশব রায়ের নেতৃত্বে ডেসপাস রাইডার সিরাজুলসহ ট্রাইব্যুনালের অন্য কর্মচারীরা লাল কাপড়ে মোড়ানো রায়ের কপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেন। সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির সন্ধ্যা ৭টায় রায়ের কপি গ্রহণ করেন বলে কারাসূত্রে জানা যায়। জানা গেছে, রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও গত রাতেই পাঠানো হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। রায়ে যা বলা হয়েছে : রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ে বলা হয়েছে, নিজামীর পক্ষে করা রিভিউ আবেদনে যেসব যুক্তি তাঁর আইনজীবীরা তুলে ধরেছেন তা রিভিউ মঞ্জুর হওয়ার মতো কোনো যুক্তি নয়। এ কারণে রিভিউ আবেদন খারিজ করা হলো। রায়ে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নিজামীর রিভিউ আবেদন পর্যালোচনা করা হয়েছে। রিভিউ আবেদনে বলা হয়েছে, নিজামী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন না। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘেরও সভাপতি ছিলেন না। কিন্তু সাক্ষীরা এবং এই মামলায় দাখিল করা বিভিন্ন দলিল প্রমাণ করে, তিনি পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া দলিলগুলো আরো প্রমাণ করে ইসলামী ছাত্রসংঘ থেকেই আলবদর বাহিনীর জন্ম হয়। আর নিজামীর নিজের লেখা প্রবন্ধ প্রমাণ করে তিনি বদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন। বদর বাহিনী নিয়ে নিজে গর্বিত ছিলেন। বদর বাহিনীর সবাইকে বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করতে উজ্জীবিত করেছেন। আলবদর বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনিই এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে যুদ্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই বদর বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। রায়ে আরো বলা হয়, এই মামলায় এটা প্রমাণিত যে নিজামী পাকিস্তান বাহিনীকে সহযোগিতা করে বৌশগারী, রূপসী ও ডেমরা গ্রামের ৪৫০ জন নিরস্ত্র সাধারণ জনগণকে হত্যা; ধোলাউড়া গ্রামে হত্যায় প্রত্যক্ষ মদদ জুগিয়েছেন এবং বিশালিকা গ্রামের সোহরাব আলীকে হত্যায় নিজে অংশ নিয়েছেন। সাক্ষ্য দ্বারা এটাও প্রমাণিত যে বদি, রুমি, জুয়েল ও অজসাদ নামের চার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন নিজামী। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনাও ছিল নিজামীর। এসব ঘটনায় যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁদের সাক্ষ্য অবিশ্বাস করার কোনো সুযোগ নেই। রায়ে বলা হয়, বদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই বাহিনীর সব কর্মকাণ্ডের দায় নিজামীর। একাত্তরে যে নির্মম ঘটনাগুলো ঘটেছে, এতে তিনি কখনো বাধা দেননি। রায়ে বলা হয়, একাত্তরের সব মানবতাবিরোধী ঘটনা অত্যন্ত নির্মম ও নৃশংস ছিল। ওই সময়কার অপরাধ শুধু একজন মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, সমাজ, পুরো জাতি ও সমগ্র এলকাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বছর ধরে ওই সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অপরাধীদের শাস্তি কামনা করে আসছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ নিষ্ঠুর, বর্বর ও হৃদয়বিদারক। ওই ঘটনায় জড়িতদের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আপস করার সুযোগ নেই। অপরাধের গভীরতা, নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ শাস্তিই নিজামীর প্রাপ্য উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়েছে, নিজামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ইতিপূর্বে আদালত যে রায় দিয়েছেন, এতে কোনো ভুল নেই। আইনগতভাবেও আদালতের কাছে নিজামীর রায়ে কোনো ভুল নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন, অপরাধ স্বীকার করা হয়েছে : গতকাল রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, নিজামী প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করতে আর কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, নিজামীর মামলায় সব নিয়ম অনুসরণ করা হবে। তাঁকে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, কোথায়, কখন ফাঁসি কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আর সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘তাঁর আইনজীবীরা দণ্ড মওকুফের কথা বলেছেন কাজেই এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন তা বলা যাবে না। যেহেতু তাঁর আইনজীবীরা দোষ অস্বীকার করেননি এ কারণে অপরাধ স্বীকার করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। আপিল বিভাগ রায়টি রিভিউ হওয়ার মতো কোনো গ্রাউন্ড খুঁজে পাননি।’ ফাঁসির মঞ্চের পাশের সেলে নিজামী : কারা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর থেকেই কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে কোন কারাগারে ফাঁসি দেবে তা নিয়ে বৈঠক করে। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই ফাঁসি কার্যকর করার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নিজামীকে কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চের পাশের ৮ সেলে। সূত্র মতে, গতকাল ফাঁসির মঞ্চে মহড়া দেওয়া হয়েছে। একটি বস্তায় নিজামীর ওজনের সমান ইট ভরে যে রশি দিয়ে ফাঁসি দেওয়া হবে সেটি পরীক্ষা করা হয়। এক কারা কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই নিজামীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। নিজামীকে আনার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরপরই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, রবিবার জামায়াতের ডাকা হরতাল থাকায় রাতে আনা হয়েছে। তিনি জানান, ফাঁসির প্রস্তুতি হিসেবে কোন কোন জল্লাদ কাজ করবে সে বিষয়টি ঠিক করা হয়। তবে তিনি জল্লাদদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। কড়া সতর্কাবস্থায় পুলিশ-র‌্যাব : নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর সামনে রেখে ঢাকাসহ সারা দেশে কড়া সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে পুলিশ-র‌্যাবকে। যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ রাস্তায় টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গতকাল দুপুরে ৬৪ জেলা পুলিশ সুপারদের কাছে বিশেষ সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আরো নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি রাতের বেলায় গ্রাম পুলিশের টহল বৃদ্ধি করতে হবে। নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ সুপাররা থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছে, ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর জামায়াত-শিবির বড় ধরনের নাশকতা চালানোর চেষ্টা চালাবে। এ নিয়ে শিবির ক্যাডাররা মোবাইল ফোনে এসএমএমের মাধ্যমে শলাপরামর্শ করছে। গতকাল বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠক করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে নাশকতাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাস্তায় টহলে থাকবে বিজিবি। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বিশৃঙ্খলাকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। জামায়াত-শিবিরকে যেভাবেই হোক প্রতিরোধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পুলিশ ও র‌্যাবকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। পুলিশ সুপারদের নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন নিজামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর নিজামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এতে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ ১৫টি অভিযোগ ছিল। ওই বছরের ১৫ মার্চ নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ না থাকায় বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে ২০১২ সালের ২৮ মে ১৬টি অভিযোগে নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এতে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগও যুক্ত করা হয়। এরপর বিচার শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর আপিল বিভাগে আপিল করেন নিজামী। এই আপিলের ওপর গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ৮ ডিসেম্বর। গত ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর রিভিউ আবেদন করেন নিজামী।

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2016/05/10/356585#sthash.DvV9cPX6.ZkQUaUmY.dpuf

No comments