Breaking News

চট্টগ্রামে পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়


বীর কন্ঠ ডেস্ক :
রমজানে যানজট সমস্যা নিরসনে গাড়ি চলাচলে পুলিশকে ‘অপ্রয়োজনীয় বাধা’ সৃষ্টি না করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মাসুদ উল হাসান।
মঙ্গলবার (১৫ মে) বিকালে সিএমপির পুলিশ লাইন্সে পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘রোজার মাসে গাড়ির দিকে কোনো ট্রাফিক পুলিশ চোখ তুলে তাকাবে না। যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে, উর্ধবতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে সেই গাড়িতে তল্লাশি করতে হবে। অযথা কোনো গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করা যাবে না। একটা গাড়িকে ৫ টাকা জরিমানা করে দিন শেষে সরকারকে ৫০০ টাকা দেওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। সড়কে শুধুমাত্র গাড়ি চলবে, কোথাও থামবে না-এটা আমরা নিশ্চিত করবো।
তিনি আরও বলেন, আবার কিন্তু এই সুযোগে যদি লক্করঝক্কর গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাধ্য হয়ে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। সুতরাং সুযোগ নেবেন না কেউ। নিয়ত ভালো রেখে গাড়ি চালাতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোকে আমরা যানজট মুক্ত রাখার চেষ্টা করবো। কারণ মোড়গুলোকে কেন্দ্র করে বড় যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
বড় শপিংমলগুলোতে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা রাখোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, যদি বড় শপিংমলগুলোতে তারা নিজস্ব পার্কিয়ের ব্যবস্থা না করে তাহলে পাশ্ববর্তী স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো শপিংমলের সামনের রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করতে দেওয়া হবে না।
মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘ফুটপাতে কেউ ইফতার বিক্রি করতে পারবে না। ফুটপাতগুলো সম্পূর্ণভাবে মানুষের হাঁটাচলার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আশা করি, কাউকে রাস্তায় ইফতার করতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমদানি-রফতানি এবং জরুরি খাদ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্যবাহী ভারী যানবাহন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না। আন্তঃজেলার যেসব বাস আছে অর্থাৎ আমাদের জেলার ওপর দিয়ে অন্য জেলায় যাচ্ছে, তারা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না। খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পণ্য নিয়ে যেসব ট্রাক আসবে সেগুলো রাত ১০টার পর ঢুকবে এবং সকাল ৮টার মধ্যে পণ্য খালাস করে চলে যাবে।
আসন্ন রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাত হাজার সদস্য মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ, উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) ফাতিহা ইয়াছমিন, উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন, উপ পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুক উল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) সৈয়দ আবু সায়েম, উপ পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মো. মোখলেছুর রহমান, উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) হাসান মো. শওকত আলী। সূত্র – বাংলানিউজ

No comments