Breaking News

ছাত্রলীগ সভাপতির সহযোগীতায় রাঙ্গুনিয়া হতে অপহৃত মেয়ে লোহাগাড়ার চরম্বা থেকে উদ্ধার।

ছাত্রলীগ নেতার সহযোগীতায় রাঙ্গুনিয়া হতে অপহৃত মেয়ে লোহাগাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ছাত্রলীগ নেতার নাম হল আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি চট্রগ্রাম জেলার  আওতাধীন লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা যায়।
গত ১৪ তারিখ দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন এর বাসিন্দা , রাঙ্গুনিয়ার রাজাভূবন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে(১৪) প্রেমের ফাদে ফেলে অপহরন করে একই ইউনিয়ন এর মতিউর রহমানের ছেলে মামুন(১৫)। সেই ইসলাম পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র বলে যানা যায়।
আমরা রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ  এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান  গত ১৪ তারিখ রাতে মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ প্রশাসন মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা চালায়। সেটির ধারাবাহিকতায় তারা মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে ১৫ তারিখ সাতকানিয়া তাদের অবস্থান ধরতে পারলেও এর পর তাদের অবস্থান আর নির্ণয় করা সম্ভব হয় নাই।
অফিসার ইনচার্জ আরো জানায়, গতকাল বিকাল ৩টার দিকে তার ফোনে একটি কল আসে। পরিচয় হিসাবে তিনি লোহাগাড়া থানার চরম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলে। এবং ্তিনি রাংগুনিয়া থানার এক ছেলে এবং মেয়ে তার ইউনিয়ন আত্নগোপন আছে বলে আমাদের জানান, এবং অফিসার ইনচার্জ  হিসাবে আমি ছাত্রলীগ সভাপতিকে তাদেরকে আটকিয়ে রাখার নির্দেশ প্রদান করি। সেই সাথে সাথে আমরা  লোহাগাড়া থানার সাথে যোগাযোগ করে  স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে তাদেরকে লোহাগাড়া থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়। এর পর আমাদের থানার ওসি-২ ও মেয়ের পিতা ও তার সঙ্গগীয় ফোর্স সহ লোহাগাড়া থানা থেকে রাত ৩ টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
অপহরনকারী ছেলেটির সাথে কথা বলে জানা যায়, তার সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুযোগ এ মেয়েটিকে নিয়ে সেই পালিয়ে গিয়ে লোহাগাড়া থানার আওতাধীন চরম্বা ইউনিয়নে যায়। সেখানে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আরিফ তার প্রতিবেশী হারেছ , আব্দুল্লাহ ২০,০০০ টাকার বিনিময়ে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কে হারেছ এর বাড়িতে আত্নগোপন রাখে ১ রাত । কিন্তু ছেলে ও মেয়ে বাড়ি থেকে আসার সময় কোন কাগজ পত্র নিয়ে না আসায় তাদেরকে তারা বিয়া করাতে পারে নাই। এদিকে স্থানীয় নয়া বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দীন নামের এক যুবক নাকি  বিয়া করাই দিবে বলে প্রায় ৫০০০ টাকা হাতিয়েও নিয়েছে। অন্য মাধ্যমে আরিফ,হারেছ ও আব্দুল্লাহ বিয়া করার পরিকল্পনা করতে করতে তারা স্থানীয় মেম্বার ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সভাপতির কাছে ধরা পড়ি। এর পর স্থানীয় মেম্বার মেয়েটি কোথায় জানতে চাইলে,  হারেছ তার বাড়িতে আত্নগোপন আছে বলে জানায়।
স্থানীয় মেম্বার এর নির্দেশে হারেছ এর বাড়ি হতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যান কে সাথে নিয়ে ছেলে এবং মেয়ে কে ইউনিয়ন পরিষদে আটকিয়ে রাখা হয়। এরপর পুলিশ এসে তাদের লোহাগাড়া থানায় নিয়ে আসে।
এই বিষয় নিয়ে আমরা চরম্বা ইউনিয়ন  পরিষদ এর চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বললে তিনি জানায়, স্থানীয় মেম্বার ও আমার ছাত্রলীগের সভাপতি , ওসি রাঙ্গুনিয়া , ওসি লোহাগাড়ার সাহায্য নিয়ে তারা ২ জনকে আমার হাতে সোপর্দ করছেন, পরে তাদেরকে পুলিশ এর হাতে দিয়ে দেওয়া হয়।
আমরা লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওসি রাঙ্গুনিয়া  ও চরম্বা ছাত্রলীগের  ইউনিয়ন সভাপতির কাছ থেকে খবর অনুয়ায়ী তারা ২ জনকে আমার হাতে সোপর্দ করছেন, পরে তাদেরকে রাঙ্গুনিয়া পুলিশ এর কাছে হস্তানর করে দিয়ে দেওয়া হয়।
মেয়েটির বাবার সাথে কথা বললে জানা যায়, তার মেয়েকে অপহরণ করে  নিয়ে গিয়ে লোহাগাড়ার চরম্বা রাখা হয়। সেখানের স্থানীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও  মেম্বার , চেয়ারম্যানরা উদ্ধার করেছেন। সেই জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে চরম্বার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ এর সাধারন সম্পাদক আরিফ, হারেছ, কুতুব ও আব্দুল্লাহ এর মামলা প্রক্রিয়াদিন।
এই বিষয় নিয়ে আমরা চরম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে কথা বললে জানা যায়, বিকাল ৩টার দিকে আমার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর এক ছোট ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানায় এলাকায় একটা অচেনা ছেলে দেখা যাচ্ছে, সেই সাথে আরো খবর পাওয়া যাচ্ছে একটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে তুলে নিয়ে এসে গোপনে বিয়ে দেওয়ার প্রায়তারা করছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে লোহাগাড়া থানার নাম্বারে ফোন দিলে তারা প্রথমে আমাকে কোন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দে নাই। পরবর্তীতে আমি ইণ্টারনেটের সাহায্যে রাঙ্গুনিয়া থানার নাম্বার সংগ্রহ করে  ও জাতীয় কল সেন্টার ৯৯৯ এর সাহায্যে ওসি রাঙ্গুনিয়ার সাথে কথা বলি ও তিনি আমাদের কে ছেলে মেয়েটিকে আটকিয়ে রাখতে বলে। ওসি রাঙ্গুনিয়া, ওসি লোহাগাড়া সাইফুল ভাইয়ের আশ্বাসে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেটিকে পেলেও  মেয়েটিকে পাই নাই।
এরপর স্থানীয় মেম্বার সোলাঈমান ভাই সহযোগীতায় জনৈক হারেছ বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে আমরা সহ মেয়েটিকে চেয়ারম্যান কে বুঝিয়ে দি। এর পর লোহাগাড়া থানার এস আই মফিজ ভাই তার সংগীয় ফোর্স সহ এসে ছেলে এবং মেয়েটি তারা আটক করে নিয়ে যায়।
আমাদের এই প্রতিবেদক চরম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন থেকে জিজ্ঞেস করলে, আপনার সাধারন সম্পাদক মেয়েটি ও ছেলেটিকে ২০,০০০ টাকার বিনিময়ে বিয়ে দিতে চাইলো আর আপনি নিজে এসে ওদের উদ্ধার করে থানায় দিলেন কেন ?  আপনাদের মাঝে কি কোন মনমালিন্যতা আছে  ?
উত্তরে তিনি সাধারন সম্পাদক নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই, আর বলেছেন মন মালিন্য হওয়ার প্রশ্নই ঊটে না। আর টাকা দাবি করার বিষয় টা মোটেই জানি না আমি। যদি এমন কোন কিছু করে থাকে তাহলে উপজেলা ছাত্রলীগ আছে, নিশ্চয় ওনারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন।
সভাপতি শুধু বলেছে ছাত্রলীগের কাজ কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া নই।  অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। আর যারা ছাত্রলীগের নাম দিয়ে এসব অন্যায় কাজ করে ও অন্যায় কে প্রশ্রয় দে, তারা কখনো ছাত্রলীগ হতে পারে না। ১৯৪৭ এর পর হতে প্রতিটা অন্যায় এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল,  সেই সাথে অধিকার ও আদায় করেছিল। আমি এমন সংগঠন এর একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে পিতা মুজিবের আদর্শ লালিত  ও আমার দায়িত্ব, কর্তব্য বোধ থেকে এই কাজটি করেছি, তিনি আরো বলেন ছেলে এবং মেয়ে ২ টাই এখনো আবেগী বয়সে তাদের আবেগকে যদি আমরা প্রশ্রয় দি, তাহলে তাদের পরিবারের অবস্থাটা কি হবে ? তাদের দেখায় আরো দশটা ছেলে এমন কাজ করতে চাইবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কি হবে ?
সেই সাথে তিনি  ওসি রাঙ্গুনিয়া , ওসি লোহাগাড়া,স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানায়।তিনি বিশেষ করে আরো ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এর উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও লোহাগাড়া ঊপজেলা ছাত্রলীগ এর আহবায়ক রিদূয়ানুল হক সূজন  যাদের কাছ থেকে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস ও সমর্থন পেয়ে থাকেন।
সোর্সঃ রাঙ্গুনিয়া নিউজ

No comments