Breaking News

আবারও আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশ

আশা! গত ম্যাচের অভিজ্ঞতা টাটকা আছে বলে ‘আশা’ করতেও যেন ভয়! তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ কিন্তু দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের জয়ের দিকেই ঝুলে আছে ম্যাচের ভাগ্য। ১২৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট পড়ে গেছে ইংল্যান্ডের। এখনো ১১৬ রান দূরত্বে তারা। হাতে মাত্র ৩ উইকেট। বাংলাদেশের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে জস বাটলারও মাত্রই ফিরলেন ৫৭ রান করে।

২৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। শুরুটা হলো জেমস ভিন্সকে দিয়ে। চতুর্থ ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মোসাদ্দেকের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন ইংলিশ ওপেনার। পরের ওভারেই বেন ডাকেটকে ফেরালেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলটা ঠেকানোর কোনো উপায়ই ছিল না। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করা বল ভেঙে দিল মিডল স্টাম্প। এ বল যে খেলা যায় না!

বেন স্টোকসও চাইলে এ কথাটি বলতে পারেন। মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে শূন্য হাতে ফিরলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। মাশরাফির আগের ওভারেই ফিরেছেন জেসন রয়। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। তারপরই উইকেটে জমে গেলেন বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ডের দুই সংস্করণের দুই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মিলে পঞ্চম উইকেটে যোগ করলেন ৭৯ রান। মাত্র ৮৩ বলের এই জুটিতেই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচের লাগাম যখন বাংলাদেশের প্রায় হাতছাড়া হওয়ার দশা, ঠিক তখনই আবারও বাংলাদেশের আঘাত। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে জায়গামতো প্রথম যে বলটি ফেললেন, তাতেই উইকেট পেলেন তাসকিন। তাঁর গুড লেংথের বলটিতে মুশফিকের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন বেয়ারস্টো। ১০৫ রানে ৫ উইকেট হারাল ইংল্যান্ড। ২৭তম ওভারের প্রথম বলে ফিরলেন মঈন আলী। নাসিরের বলে ফিরলেন সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে। পরের ওভারেই বাটলারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন তাসকিন। আম্পায়ার নাকচ করে দিলেও রিভিউ নিয়ে আউট পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মাথাব্যথা এখন ক্রিস ওকস। গত বিশ্বকাপেও এই ওকস ভুগিয়েছিলেন বেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে সেবার জয়বঞ্চিত করতে পারেননি। এবার পারবেন? বাংলাদেশের সমর্থকেরা নিশ্চয়ই তা চান না।

No comments